চলতি বছরে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আরও ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট তুলে ধরার সময় তিনি এ তথ্য দেন।
এরই মধ্যে বছরের পাঁচ মাস পেরিয়ে গেছে। বাকি আছে সাত মাস। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে আইটি সেক্টরে এরই মধ্যে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে আরও ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’
দেশের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশি তরুণ হওয়ায় অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থায় আছে বলে দাবি অর্থমন্ত্রীর।
তিনি বলেন, ‘এই হার উন্নত বিশ্বে ২০-২৫ শতাংশের বেশি নয়। প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। চলমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লব দেশে-বিদেশে দক্ষ জনশক্তির জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থানের অভূতপূর্ব সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।’
অর্থমন্ত্রী জানান, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’, ‘ভিশন ২০৪১’ ও ‘ডেল্টা প্লান ২১০০’-এর বাস্তবায়নে দেশে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞানে পারদর্শী মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।
সরকার বিষয়ভিত্তিক কর্মসংস্থানের নীতি অনুসরণ করছে জানিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় রেখে শিক্ষা কার্যক্রমের বিষয় সংশোধন ও পুনর্বিন্যাস করে শিক্ষার সঙ্গে শিল্পের নিশ্চিত যোগসূত্র স্থাপন করা হচ্ছে।’
এ ছাড়া, সরকার খাতভিত্তিক কর্মসংস্থানের নীতি অনুসরণের কারণে সরকারি বিনিয়োগ এবং শিল্প ও বাণিজ্যে প্রণোদনা দিয়ে কর্মসংস্থানের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রাখা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।