বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী এবার প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় হবে মোট বাজেট বরাদ্দের ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে ৩৭ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় এ বরাদ্দ ৩ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা বেশি। এটি বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি, আর মূল বাজেটের চেয়ে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি।
গত ১২ বছরে প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে তিন গুণের বেশি। দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করার পর ২০০৯-১০ অর্থবছরে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রতিরক্ষা খাতে ১১ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রাখেন।
গত অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ৩৪ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়। পরে তা সংশোধিত হয়ে দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৯১৬ কোটি টাকায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের প্রতিরক্ষা নীতি অনুসরণ করে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের কাজ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার।
২০০৯ সালে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা গ্রহণ করার পর সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ‘ফোর্সেস গোল ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়। এর আওতায় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে আধুনিকায়ন শুরু হয়।
এই লক্ষ্য অর্জন হওয়ার পর ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ নামে আরেকটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করছে সরকার। এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর আকার বৃদ্ধি, আধুনিক যুদ্ধ-সরঞ্জাম সংগ্রহ ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ প্রদান।
এ ছাড়া দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলার বিষয়টিকেও প্রাধান্য দেয়া হয়েছে এই পরিকল্পনায়।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০০৯ সাল থেকে প্রতিবছরই প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে সংশোধিত বাজেট ছিল ৩২ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৯ হাজার ৮৪ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৫ হাজার ৭৪০ কোটি ৭৫ লাখ ৮ হাজার টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২৩ হাজার ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৮ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৬ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১২ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা, ২০১১-১২ অর্থবছরে ১১ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা এবং ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা হয় ৯ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা।