বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাইব্রিড গাড়ি ও মাইক্রোবাসের দাম কমবে

  •    
  • ৩ জুন, ২০২১ ১৮:০৫

নছিমন, লেগুনার মতো দুর্ঘটনাপ্রবণ যানবাহন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করে বিকল্প গণপরিবহন হিসেবে মাইক্রোবাস ব্যবহার উৎসাহিত করতে শুল্ক কমানো হচ্ছে।

আগামী বাজেটে মাইক্রোবাস ও হাইব্রিড গাড়ির দাম কমতে পারে। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে এই দুই ধরনের গাড়িতে কর ছাড়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে এই দুই ধরনের গাড়ির দাম কমে আরও নাগালে আসবে, ব্যবহারও বাড়তে পারে।

একই সঙ্গে দেশি অটোমোবাইল খাতের বিকাশেও কর ছাড় দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নছিমন, লেগুনার মতো দুর্ঘটনাপ্রবণ যানবাহন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করে বিকল্প গণপরিবহন হিসেবে মাইক্রোবাস ব্যবহার উৎসাহিত করার লক্ষ্যে মাইক্রোবাস আমাদানিতে শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব হাইব্রিড গাড়ির ব্যবহার উৎসাহিত করার লক্ষ্যে হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে শুল্কহার পুনর্বিন্যাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

‘এ ছাড়া অটোমোবাইল খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে এবং এটিকে মেগা শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। মেগা শিল্পে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে অন্যূন ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে স্থাপিত অটোমোবাইল (থ্রি হুইলার ও ফোর হুইলার) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে ২০ বছর কর অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রস্তাবে বলেন, দেশে মেগা শিল্পের বিকাশ এবং আমদানি বিকল্প শিল্পোৎপাদনকে ত্বরান্বিত করার স্বার্থে মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে অটোমোবাইল-থ্রি হুইলার এবং ফোর হুইলার উৎপাদনকারী কোম্পানিকে শর্ত সাপেক্ষে ১০ বছর মেয়াদে কর অব্যাহতি এবং আরও কিছু শর্ত সাপেক্ষে আরও ১০ বছর কর অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করছি।

এ বিষয়ে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডার সভাপতি আবদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাইক্রোবাসের কর কমার কথা সুখবর। এতে ব্যবহার বাড়বে, সড়কে দুর্ঘটনা কমবে। একই সঙ্গে হাইব্রিড গাড়ির দাম কমার বিষয়টিও ইতিবাচক। তবে হাইব্রিড গাড়ির ক্ষেত্রে সরকার উচ্চ সিসির গাড়ির ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে। এটি ২০০০ সিসির কম গাড়ির ক্ষেত্র হলে ভালো। আমরা রিকন্ডিশন্ড গাড়ির অবচয় সুবিধা চেয়েছিলাম কিন্তু পাইনি। এতে গাড়ি মানুষের নাগালের মধ্যে আনা যাচ্ছে না।’

এদিকে গাড়ির মালিকদের খরচও বাড়ছে না নতুন বছরে। আগের মতোই ১৫০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির ওপর কর ২৫ হাজার টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে। ১৫০০ সিসির বেশি কিন্তু ২০০০ সিসির কম এমন প্রাইভেট কার ও জিপ গাড়িতে আগে কর ছিল ৫০ হাজার টাকা, ২০০০ সিসি থেকে ২৫০০ সিসির কম গাড়িতে কর ১ লাখ টাকা, ২৫০০ থেকে ৩০০০ সিসির কম পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৩০০০ সিসি থেকে ৩৫০০ সিসি পর্যন্ত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৩৫০০ সিসির বেশি এমন সব বিলাসবহুল গাড়ির ওপর বার্ষিক কর ২ লাখ টাকা। বছরে মাইক্রোবাসের কর থাকবে ৩০ হাজার টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর