স্বাস্থ্য খাতের টেকসই অর্জন ও ভবিষ্যতে মহামারির আঘাত থেকে রক্ষা পেতে গতবারের মতো স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি খাতে গবেষণার জন্য এবারও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বরাদ্দের প্রস্তাব দেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল থেকে করোনাভাইরাস, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ বিভিন্ন ভাইরাসের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা শিক্ষার বিষয়ে গবেষণার সুযোগ থাকবে। তহবিলটি কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিজ্ঞানের নতুন ধারা এবং কলাকৌশল উদ্ভাবনের জন্য ফেলোশিপ এবং অনুদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণাকাজে এই তহবিল থেকেও অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে।’
এই বরাদ্দের আওতায় ৯ মে ১১টি বিষয়ের ওপর গবেষণার জন্য প্রস্তাব চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ। আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত গবেষকরা তাদের প্রস্তাব জমা দিতে পারবেন।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের জন্য আরও উন্নত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা অত্যন্ত জরুরি।’
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অন্যান্য দেশে স্বাস্থ্য গবেষণার জন্য যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ থাকে, আমাদের দেশে তেমন নেই। বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নত গবেষণা কার্যক্রম অত্যন্ত জরুরি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে যুগোপযোগী ও মানসম্পন্ন গবেষণার বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণার বিষয়ে গবেষকদের পর্যাপ্ত ধারণা থাকা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা দেবে।’