প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট করের কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। চলতি অর্থবছরের ন্যায় তা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বহাল রাখা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। বর্তমানে পুঁজিবাজারে ৬৩টি মার্চেন্ট ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
করপোরেট কর পরিবর্তন না হওয়ায় এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংকের গতিশীলতার জন্য প্রণোদনা প্রয়োজন। করোনার সময় পুঁজিবাজার ভালো ছিল না। ফলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকেও তখন লোকসান গুনতে হয়েছে।
২০২১-২২ সালে প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট কর পরিবর্তন করা না হলেও, চূড়ান্ত বাজেটে কমবে এমন আশা প্রকাশ করে ছায়েদুর রহমান বলেন, এটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
একই সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট করের পার্থক্য চলতি অর্থবছরের ন্যায় সাড়ে সাত শতাংশ রাখা হয়েছে।
ছায়েদুর রহমান বলেন, এ ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য কর রাখা হয়েছে সাড়ে ২২ শতাংশ, যা চলতি অর্থবছরে আছে ২৫ শতাংশ। একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির জন্য করের প্রস্তাব করা হয়েছে ৩০ শতাংশ, যা চলতি অর্থবছরে আছে সাড়ে ৩২ শতাংশ। ফলে উভয় ক্ষেত্রেই আড়াই শতাংশ কর কমানো হয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরেও এই করের পার্থক্য ছিল আড়াই শতাংশ, প্রস্তাবিত বাজেটেও তা কমানো হয়েছে আড়াই শতাংশ। ফলে প্রকৃত পক্ষে এ খাতের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
পুঁজিবাজারে যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়, সেগুলোর অনেক নিয়ম নীতি, করপোরেট গর্ভন্যান্স পরিপালন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত নয়, সেগুলোর সঙ্গে করের পার্থক্য আরও বেশি হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, করের হার একই থাকায় পুঁজিবাজারে আগামী সময়ে ভালো ও নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে খুব বেশি আগ্রহ হবে বলে মনে হয় না। এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত বাজেটে বিষয়টি নজর দেয়া উচিত।