প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে কর ছাড় পাচ্ছেন নারী উদ্যোক্তারা। কোনো নারী উদ্যোক্তার বার্ষিক লেনদেন যদি ৭০ লাখ টাকার কম হয়, তাহলে ওই উদ্যোক্তাকে কোনো কর দিতে হবে না।
বর্তমানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বার্ষিক ৫০ লাখ টাকা লেনদেনে কোনো কর দিতে হয় না। নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে আগ্রহ বাড়াতে করমুক্ত লেনদেন সীমা বাড়ানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের যে বাজেট উপস্থাপন করেন তাতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
বার্ষিক লেনদেন বা টার্নওভারের নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করলে ব্যবসা খাত ভেদে নির্দিষ্ট করপোরেট কর দিতে হয়।
বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এত দিন আলাদা কোনো কর অব্যাহতি ছিল না। পুরুষ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের ব্যবসা করতে হয়। তাই আগামী বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের কিছুটা স্বস্তি দিতেই নতুন এই উদ্যোগ।
পিপলস লেদারের স্বত্বাধিকারী রেজবিন হাফিজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশের নারী উদ্যোক্তাদের অধিকাংশই ক্ষুদ্র ও মাঝারি। কোভিড-১৯ মহামারিতে নারী উদ্যোক্তাদের অনেকেরই ব্যবসা বন্ধ হয়েছে। কারও কারও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া খুবই জরুরি। বাজেটে করমুক্ত লেনদেন বা আয়ের এ সীমা বাড়ানোর ফলে নারীদের জন্য তা কিছুটা হলেও সহায়ক হবে।’
আইএফসির সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, করোনায় বাংলাদেশের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের নারী উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছেন। নারীদের দ্বারা পরিচালিত ৩৭ শতাংশ এমএসএমই প্রতিষ্ঠান এ মহামারিতে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ছাড়া ৯৪ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিক্রি কমেছে। এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন খাতটির প্রায় ৭০ শতাংশ উদ্যোক্তা ও কর্মী।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক শুমারির তথ্যমতে, এক দশকের ব্যবধানে নারীপ্রধান অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৩ সালে মোট অর্থনৈতিক ইউনিটের মাত্র ৩ শতাংশ নারী প্রতিষ্ঠানপ্রধান হলেও ২০১৩ সালে তা ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।