২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
সকালেই বৈঠকে যোগ দিতে সংসদ ভবন এলাকায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও এতে অংশ নেন।
একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ ও সরকারের চলতি মেয়াদের তৃতীয় বাজেট অধিবেশন শুরু হয় বুধবার। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে দেশের ইতিহাসের ৫০তম বাজেট অধিবেশন এটি।
বুধবার বিকেল ৫টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় এ বাজেট অধিবেশন। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম বাজেট।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি হবে আ হ ম মুস্তফা কামালের তৃতীয় বাজেট।
প্রতি অর্থবছরের জুনের শুরুতে বাজেট উত্থাপন এবং ৩০ জুনের মধ্যে বাজেট পাস করা হয়। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এবার বাজেট পাস হবে আগামী ৩০ জুন। আর ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নতুন বাজেটের আকার হতে পারে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার, যা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে প্রায় ৬ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। প্রস্তাবিত বাজেট জিডিপির প্রায় সাড়ে ১৭ শতাংশ।
সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বেশি খরচের লক্ষ্য নিয়ে বিশাল একটি ঘাটতি বাজেট (আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি) দিতে যাচ্ছেন মুস্তফা কামাল। এবার ঘাটতি ধরা হচ্ছে জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের (যে অর্থবছর শেষ হতে যাচ্ছে) মূল বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। আর ঘাটতি ছিল জিডিপির ৬ শতাংশ। পরে তা সংশোধন করে নির্ধারণ করা হয় ৫ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, বাজেটের আকার বড় ঘোষণা করা হলেও খরচ তার চেয়ে অনেক কম হয়। কারণ বাস্তবায়নের সক্ষমতা প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়েনি।
এত দিন সাধারণত জিডিপির ৫ শতাংশ ঘাটতি ধরে বাজেট করা হয়েছিল। কিন্তু করোনাকালীন অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি চাঙা করতে দুটি বাজেটেই ঘাটতি ৬ শতাংশের বেশি ধরা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, মন্দা পরিস্থিতিতে ‘সম্প্রসারণমূলক’ বাজেট প্রণয়ন করাই হবে সরকারের জন্য উত্তম।