বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাজেটে বরিশাল বিভাগের দিকে সুদৃষ্টি দাবি

  •    
  • ২ জুন, ২০২১ ২৩:০২

‘এবারে বাজেটের এক তৃতীয়াংশ আমরা শিল্পখাতের ওপর চাচ্ছি। কেননা করোনাকালে আমাদের শিল্পখাতগুলোর অনেক ক্ষতি হয়েছে। সামান্য প্রণোদনা নয়, বড় প্রণোদনা দরকার আমাদের। বিশেষ করে যেসব শিল্পখাত জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে সেগুলোর দিকে নজর রেখে বাজেট প্রণয়ন প্রয়োজন, তা না হলে শিল্পখাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

দক্ষিণাঞ্চলের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলছেন, এই অঞ্চলের উন্নয়নে উপযুক্ত বাজেট না থাকায় অনেকই রাজধানীমুখী হচ্ছে।

এ অবস্থায় উপকূলের বাঁধ রক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার দাবি উঠেছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘এবারে বাজেটের এক তৃতীয়াংশ আমরা শিল্পখাতের ওপর চাচ্ছি। কেননা করোনাকালে আমাদের শিল্পখাতগুলোর অনেক ক্ষতি হয়েছে। সামান্য প্রণোদনা নয়, বড় প্রণোদনা দরকার আমাদের। বিশেষ করে যেসব শিল্পখাত জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে সেগুলোর দিকে নজর রেখে বাজেট প্রণয়ন প্রয়োজন, তা না হলে শিল্পখাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, ‘বাজেটে দক্ষিণাঞ্চল অবহেলিত থাকে সবসময়, থাকে তলানীতে। বরিশালের পরিবেশগত দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা ভালো বরাদ্দ চাই। বড় কোনো দুর্যোগ আসলেই বৃহত্তর বরিশালের উপকূলীয় এলাকার বাঁধ যে পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাতে স্থায়ী বাঁধ দরকার। বরিশাল বিভাগে হিমাগার দরকার। বিশেষ করে ইলিশের জন্য। এখানে কার্গো বিমান ল্যান্ডিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

‘এছাড়া খাল খননের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামেই বেশি বরাদ্দ হচ্ছে। সর্বশেষ রাজশাহীতেও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র বরিশালেই দেয়া হচ্ছে না। আমাদের এখানে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও নাজুক। বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। বরিশালে অনেক কল কারখানা হয়েছে, যাদের পণ্য পৃথিবীর অনেক দেশেই রপ্তানি হয়। সেই পণ্যগুলো কেনো ঢাকা থেকে পরিবহন হবে?’

ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেন, ‘করোনাকালে ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য ভ্যাটের উৎস কমিয়ে আনতে হবে। আমাদের জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্যসেবার মান খুবই খারাপ। হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন সমস্যা ও সরঞ্জামের অভাবে রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেবার মান বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

জেলা শিল্প কলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল হক অনু বলেন, ‘আমরা চাই এলাকাভিত্তিক বাজেট হোক। যেমন এই মুহূর্তে ইয়াসের প্রভাবে ভোলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ আলোচিত একটি বিষয়। বর্তমানে যে বাঁধগুলো আছে সেগুলো একদিকে যেমন টেকসই নয় অন্যদিকে ভূমি অধিগ্রহণ না করে অন্যের জমিতে বাঁধ নির্মাণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া বাঁধের চেয়ে জোয়ারের উচ্চতা বেশি হওয়ায় বাঁধগুলো এখন উচুঁ করা জরুরি। এ জন্য বাজেটে বরাদ্দ দরকার। অপরদিকে ইউনিয়ন পর্যায়ের সড়কগুলোর বেহাল।

‘এগুলো সংস্কারে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। আরও দরকার ভোলার পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করার জন্য পর্যাপ্ত বাজেট। এছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সাংস্কৃতিক খাতে বরাদ্দ প্রয়োজন। জাতীয় পর্যায়ে বাজেট হলে জেলাগুলোর এসব সমস্যার সমাধান হবে না। সুতরাং বাজেটে জেলার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া দরকার।’

গ্রামীণ সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক এম শাহরিয়ার জিলন বলেন, ‘দিন দিন বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজেটে বেকারত্ব সমস্যা নিরসনে গুরুত্ব দিতে হবে। যুবকরা যাতে উদ্যোক্তা হয়ে কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে সে জন্য বাজেট দরকার। তরুণদের সংস্কৃতি ও ক্রীড়ামুখী করতে বরাদ্দ বাড়িয়ে বাজেট দেয়া দরকার।

‘বছরের বিভিন্ন সময়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। কিন্তু জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান কিংবা প্রয়োজনীয় প্রণোদনার ব্যবস্থা থাকে না। জেলেরা নিতান্তই অভাবের তাড়নায় নদীতে মাছ শিকারে যায়। জেলেদেরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বাজেট দরকার। মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেরা যাতে যাতে অন্য কাজ করতে পারে সে জন্য বাজেটে কর্মসূচি দরকার। এছাড়া জেলেদের মাঝে জীবনরক্ষাকারী সামগ্রী বিশেষ করে লাইফ জ্যাকেট এবং নৌকার লাইসেন্স দেয়া জরুরি।’

পিরোজপুর জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা নকীব বলেন, করোনাকালে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে অনেক। যেটা সরকারের নজরে রয়েছে আশা করি। এছাড়া ইদানিং একটি বিষয় আমাদের খুব ভাবিয়ে তুলছে, সেটা হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় বিশৃঙ্খলা ছড়ানো। বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বিশেষ নীতিমালার মধ্যে আনা যায়, তাহলে সবার জন্য ভালো হবে বলে মনে করছি।

ঝালকাঠি চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ সালেক বলেন, ‘করোনায় ৯০ ভাগ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝালকাঠি একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান এলাকা আমরা চাই এবারের বাজেট শিল্পবান্ধব বাজেট হোক।

ঝালকাঠি লবণ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল শরীফ বলেন, ‘বিদেশ থেকে লবণের কাচামাল আমদানিতে যদি ভ্যাট কমানো হয় তাহলে দেশের লবণ শিল্পটি রক্ষা হবে। এ ছাড়াও আমরা এ বাজেটে ব্যবসায়ীদের প্রণোদনার অংশ বৃদ্ধি চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর