বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবহেলার অবসান চান হাওরবাসী

  •    
  • ২ জুন, ২০২১ ২২:১৪

হাওরাঞ্চলের মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বাজেটে আলাদা করে হাওরের জন্যে বরাদ্দ রাখতে হবে। এই অর্থ থেকেই সমন্বিত উন্নয়নের আওতায় কৃষি, পরিবেশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব খাতের কাজ করতে হবে। এটাই হাওরের মানুষের দাবি।’

বাজেটে আলাদা বরাদ্দের দাবি তুলেছেন বন্যা, খরা, পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকা হাওরপাড়ের মানুষ। দেশের অন্য অঞ্চলের মানুষের মতোই নাগরিক সব সুবিধার নিশ্চয়তা চান তারা।

নেত্রকোণা, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নিয়ে গঠিত হাওরাঞ্চল। হাওরের সাত জেলায় প্রায় সাড়ে ৯ লাখ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত ধান

দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া দেশজুড়ে আমিষের চাহিদা মেটাতেও ভূমিকা রাখছে হাওরের মাছ।

তবে বিপুল হাওরাঞ্চল বরাবরই থেকে যাচ্ছে উন্নয়নের বাইরে। টিকে থাকতে না পেরে হাওর ছাড়ছেন মানুষ। কর্মসংস্থানের জন্যে ছুটছেন শহরে।

দীর্ঘদিন ধরে হাওরাঞ্চলের মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করছেন হাওর মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইকবাল হোসেন।

তিনি বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে আমাদের বেঁচে থাকার কর্মপরিকল্পনা চাই। বাজেটে প্রতিফলন চাই। আলাদা বরাদ্দ রাখার দাবি জানাই।’

ইকবাল হোসেন বলেন, ‘হাওর জুড়ে থাকা অসংখ্য নদী, খাল, বিল উজান থেকে পাহাড়ি নদীর ঢলের সাথে বয়ে আসা বালিতে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। দিনদিন কমে আসছে কৃষকের চাষের জমি। তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ‘হাওরের কৃষিতে নেমে এসেছে নতুন প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বন্যা, খরা তো লেগেই আছে। বর্তমানে হাওরে বনাঞ্চল বলতে আর কিছু নেই। প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারিয়ে হাওর এখন দিন দিন মরুভূমি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে টিকতে না পেরে দলে দলে হাওর ছাড়ছে মানুষ। তারা স্বাস্থ্যসেবা থেকেও বঞ্চিত। দুর্গম গ্রামে বসবাসকারীরা চিকিৎসার অভাবে মারা যান। শিক্ষায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।

ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বাজেটে আলাদা করে হাওরের জন্যে বরাদ্দ রাখতে হবে। এই অর্থ থেকেই সমন্বিত উন্নয়নের আওতায় কৃষি, পরিবেশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব খাতের কাজ করতে হবে। এটাই হাওরের মানুষের দাবি।’

পেশায় কৃষক আমিন উদ্দিন নেত্রকোণার হাওর উপজেলা খালিয়াজুরীর বাসিন্দা।

তিনি বলেন, ‘বছর বছর বাজেট দেয় সরকার। আমরা হুনি। আমরার হাওরের মাইনষের লাইগ্যা কি দেয়। আমরাতো আগের মতোই যুদ্দ কইরা চলতাছি। আমরা কী পাইছি?

‘আমরার কথা ভাবে না। দেহেন গিয়া আমরার জালোপাড়ার মানুষেরা কেমনে বাইচ্যা আছে। এইতারে বাচা কয় না। সরকাররে কইয়েন আমরার লাইগ্যা কিছু করে যে। বাজেটে আমরার লাইগ্যা কিছু করুক।’

একই উপজেলার বাসিন্দা আনন্দ বর্মণ বলেন, ‘বাজেট আমরার লাইগ্যা না। শহরের মাইনষের লাইগ্যা।

‘আমরা কী পাইলাম। দুইডা ভাত খাইয়া দিন পাড়ি দিতা পারিনা। আমরার জীবনডার দাম সরকারের কাছে নাই। আমরার লাইগ্যা সরকারে কিছু অইলেও করুক।’

এ বিভাগের আরো খবর