বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৭ লাখ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট অর্থনীতি সমিতির

  •    
  • ১ জুন, ২০২১ ২১:০১

ড. জামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা ২০১৫ সাল থেকে এই বিকল্প বাজেট দিয়ে আসছি, এটা আমাদের সপ্তম বাজেট। আশা করি সরকার আমাদের এই বাজেট প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখবে।’

আগামী বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের খসড়া বাজেট প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থ মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশ অনুযায়ী অর্থমন্ত্রী ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার ব্যয় বাস্তবায়নের বাজেট প্রস্তাব করবেন।

সেখানে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি একই বছরের জন্য উন্নয়ন ও পরিচালন মিলিয়ে ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ৭১৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট ঘোষণা করেছে।

তবে এর থেকে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা আসতে পারে মাত্র তিনটি খাত থেকেই। যদিও সুযোগ থাকার পরও সরকার সেখানে নজর দিচ্ছে না।

খাতগুলো হলো অতিরিক্ত মুনাফা, কালো টাকা ও অর্থ পাচার। এই তিনটিসহ সমিতি ২৮টি নতুন আয়ের উৎসেরও সন্ধান দিয়েছে।

মঙ্গলবার অর্থনীতি সমিতি আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেন সমিতির চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত। এ সময় অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদসহ সমিতির নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনায় ড. আবুল বারকাত বলেন, আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য উন্নয়ন ও পরিচালন মিলিয়ে মোট ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ৭১৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট ঘোষণা করছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। যা সরকারের বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটের ৩ দশমিক ০৩ গুণ বেশি।

তিনি আরও জানান, সরকারের উন্নয়ন ও পরিচালন ব্যয় বাজেটের বর্তমান অনুপাত যেখানে ৩৮ দশমিক ৬২, সেখানে সমিতির এবারের বিকল্প বাজেটে তা ৬৯:৩১।

ড. বারকাত সমাজ ও অর্থনীতির কোন কোন খাত ও ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে এবং পেছনের যুক্তি কী—তা তুলে ধরে সমিতির বিস্তারিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে বলেন, করোনাভাইরাসের অভিঘাত মোকাবিলা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকারের আয় বাড়াতে হবে এবং সম্ভাব্য আয় কীভাবে বাড়তে পারে, তা নিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ২৮টি নতুন উৎস চিহ্নিত করেছে।

বিকল্প বাজেটে সমিতি শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ২ লাখ ২ হাজার ১২৪ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য খাতে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১২৪ কোটি টাকা, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করেছে। এছাড়া ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পরিচালন বরাদ্দ দিয়ে ‘গণপরিবহণ ও গবেষণা ও বিচ্ছুরণ’ নামে দুটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ২ লাখ ২৬ হাজার ১১৪ কোটি টাকা, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অধ্যাপক বারকাত বলেন, আমাদের প্রস্তাবনায় বাজেটের ব্যয় বরাদ্দ কাঠামোতে গুণগত রূপান্তর ঘটবে। উন্নয়ন বাজেট হবে পরিচালন বাজেটের চেয়ে অনেক বেশি, যা এখন ঠিক উল্টো। এখন উন্নয়ন-পরিচালন বাজেট বরাদ্দের অনুপাত ৩৮:৬২, যা আমাদের প্রস্তাবিত বাজেটে হবে ৬৯:৩১।

চলতি অর্থবছরেও সরকারের মোট আয় (প্রাপ্তি) ছিল ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৩ কোটি টাকা। পক্ষান্তরে বিকল্প বাজেটে এই প্রাপ্তি প্রস্তাব করা হয়েছে ১৬ লাখ ৩ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ে প্রত্যক্ষ কর অনুপাত ৪৮: ৫২ শতাংশের বিপরীতে সমিতির বাজেটে তা ৮৪: ১৬ শতাংশ।

সমিতির বাজেটে নতুন খাত/উপখাত সংযোজন করা হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো— দুটি মন্ত্রণালয় গণপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং গবেষণা ও বিচ্ছুরণ মন্ত্রণালয়। ১০টি নতুন বিভাগের অন্যতম হলো স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রবীণ হিতৈষী বিভাগ, দরিদ্র-বিত্তহীন-নিম্নবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জীবন কুশলতা উন্নয়ন বিভাগ, গ্রামীণ নারী-দরিদ্র-বিত্তহীন-নিম্নবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত, নারীপ্রধান খানার জীবন কুশলতা উন্নয়ন বিভাগ ।

অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা ২০১৫ সাল থেকে এই বিকল্প বাজেট দিয়ে আসছি, এটা আমাদের সপ্তম বাজেট। আশা করি সরকার আমাদের এই বাজেট প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখবে।’

এ বিভাগের আরো খবর