আসন্ন বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা, শ্রমবাজার ও কর্মসংস্থান এবং জলাবায়ু খাতকে অধিক গুরুত্ব দেয়ার দাবি জানিয়েছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এ জন্য চারটি প্রস্তাব ও ১১টি সুপারিশ দিয়েছে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলেন তুলে ধরা প্রস্তাবগুলো হলো—মানুষের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিতকরণ, করোনা সংকট নিরসন ও উত্তরণ, সমৃদ্ধশীল ও টেকসই অর্থনীতি গড়তে গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নয়নকে গুরুত্ব ও তৃণমূল ও মধ্যম শ্রেণির মানুষের উন্নয়নের বিশেষ নজর।
সংগঠনটির ১১টি সুপারিশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—রপ্তানি খাতকে গুরুত্ব দেয়া, অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ, এনবিআরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, কালো টাকা সাদাকরন বাতিল, আমলাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি নুরুল করীম আকরাম বলেন, আগামী অর্থ বছরের জন্য সরকার একটি নতুন বাজেট প্রণয়ন করছে। এতে করোনা সংকট মোকবেলার জন্য বাজেটে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। গতানুগতিক বাজেট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
‘এ বাজেটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হওয়া সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনতে শিক্ষা খাতে অধিক বরাদ্দ ও ব্যয় করার সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।’ এ সময় স্বাস্থ্যখাতকে দুর্নীতিমুক্ত করে উন্নত করার বাজেট করার দাবিও জানান তিনি।
তিনি বলেন, শিক্ষা খাতে যে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে তাতে শিক্ষার্থীদের করোনা ভুলে ক্লাসে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। ঝড়ে পড়ার হার বাড়বে।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল আমিন বাজেট প্রস্তাবনায় বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটেও প্রধান উদ্দেশ্য হবে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির স্বাভাবিক রূপ ফিরিয়ে আনা, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, শিক্ষা ব্যবস্থা গতিশীল করা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অথচ সেটি না হয়ে একটি গতানুগতিক বাজেট করা হচ্ছে।