আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বিড়িশিল্পে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রস্তাবকে খাতটি ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বলে প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন।
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বুধবার আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে বিড়িশিল্পকে বাঁচাতে সংগঠনটি অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে।
দেশের কিছু এনজিও বিড়িশিল্পের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে প্রস্তাব দিয়েছে।
অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার ছাড়াও বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন বিড়ির ওপর অর্পিত ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার; ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোসহ বিভিন্ন এনজিওর ষড়যন্ত্র বন্ধ করা এবং বিড়িশিল্পকে কুটিরশিল্পের মর্যাদা দিয়ে সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার দাবি জানায়।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী বলেন, ‘বিড়ি এ দেশের প্রাচীন শ্রমঘন শিল্প। এ শিল্পে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলঙ্গতা, নদীভাঙন ও চর এলাকার মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
‘কিন্তু বিদেশি সিগারেট কোম্পানি ও দেশীয় কিছু এনজিও বিড়িশিল্পকে ধ্বংস করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাজেটের সময় বিড়িতে মাত্রাতিরিক্ত শুল্কারোপের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে এসব এনজিও। গরিবের রুটিরুজি উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন এই কাজকে ধ্বংস করতে তারা উঠেপড়ে লেগেছে।
‘২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বিড়িশিল্পকে ধ্বংস করতে এনবিআরকে ভুল বুঝিয়ে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা এই প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
মানববন্ধনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গফুর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুসহ বিড়ি শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।