করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই আরেকটি বাজেট দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ৩ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের ৫০তম যে বাজেট উপস্থাপন করা হবে তার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’।
শোষণ–বঞ্চনার পথ পেরিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত যে দেশ ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র তকমা নিয়ে শুরু করেছিল যাত্রা, সেই বাংলাদেশ উন্নতির গতিতে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে পূর্ণ করেছে ৫০ বছর।
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে এবারের বাজেট হয়তো জাঁকজমকপূর্ণভাবে উপস্থাপন করতেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। কিন্তু করোনাভাইরাস সেই আনন্দকে ফিকে করে দিয়েছে। গতবারের মতো এবারও সাদামাটাভাবে বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। তার বক্তব্যও হবে আগেরবারের মতো ছোট।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা নজিরবিহীন এক মহামারির বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে অনিশ্চিত আগামীর জন্য বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী। এ সময়ে এসে সরকারকে একদিকে অর্থনীতির ধস ঠেকানোর কথা ভাবতে হচ্ছে, অন্যদিকে করতে হচ্ছে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর চিন্তা।
দুই বছর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ‘সমৃদ্ধ আগামীতে’ পৌঁছানোর লক্ষ্য স্থির করে যে পথযাত্রা বাংলাদেশ শুরু করেছিল, এক ভাইরাসের প্রবল ত্রাসে তা থমকে গেছে। টানা তিন মেয়াদে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই বাজেটের শিরোনাম দেয়া হয়েছিল ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাাংলাদেশ; সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাাংলাদের’।
ওই বাজেট শেষ না হতেই আসে করোনার ধাক্কা। শুরু হয় ভিন্ন পেক্ষাপট। ২০২০ সালের মার্চ থেকে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও তছনছ হয়ে যায়; ওলটপালট হয়ে যায় সব হিসাব-নিকাশ।
করোনায় চাকরি হারিয়ে বাড়িতে ফিরতে হয়েছে অনেককে। ফাইল ছবি
সেই কঠিন পরিস্থিতিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ভাবতে হয়েছিল আগের উন্নয়ন দর্শনের বাজেটের চেয়ে ভিন্নভাবে। তাই তো তিনি তার বাজেটের শিরোনাম দিয়েছিলেন ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’।
পরিস্থিতি এখন আরও খারাপ। মহামারির প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। শঙ্কা আছে, তৃতীয়, চতুর্থ ঢেউয়ের ধাক্কার। কবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে দেশ, তা নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছে না।
এমন অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যেই ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। তার এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য অর্থনীতির ক্ষত সারিয়ে তোলা; মানুষের প্রাণ বাঁচানো। যে কাজ হারিয়েছে, তাকে কাজও দেওয়া। যে কষ্টে আছে, তার কষ্টা লাঘব করা।
আর তাই তিনি তার নতুন বাজেটের শিরোনাম দিয়েছেন ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’।
নিজের তৃতীয় এই বাজেট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী নিউজবাংলাকে বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই আমরা এবারের বাজেটের নাম দিয়েছি ‘জীবন ও জীবিকার বাজেট’। এই বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের অর্থনীতিকে যেমন আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনব, তেমনি দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষকে টিকা প্রদানসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জীবন বাঁচিয়ে জীবিকার সংস্থান করা হবে।”
এই কঠিন বাস্তবতায় বছরের ব্যয়ের ফর্দ সাজাতে গিয়ে অর্থমন্ত্রীকে মাথায় রাখতে হচ্ছে স্বাস্থ্য খাত যেন মহামারি সামাল দেওয়ার সক্ষমতা পায়। উৎপাদন যেখানে বড় ধাক্কা খেয়েছে, সেখানে কৃষক যেন অন্তত ফসল ফলাতে পারে। ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে খাদ্য সংকট যেন না হয়, হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের মানুষকে যেন সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া যায় এবং বেকারত্ব যেন সমাজকে নতুন সংকটের পথে না নিয়ে যায়।
এসব দিক সামাল দিয়ে আগামী এক বছরে সরকারের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল মোটামুটি ছয় লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা খরচের একটি পরিকল্পনা ৩ জুন জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন, যা আকারে বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ বেশি।
এই দুর্যোগের মধ্যে বিদায়ী অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি যে ৮ দশমিক ২ শতাংশের লক্ষ্যের ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারবে না, সে বিষয়ে মোটামুটি একমত দেশি-বিদেশি অর্থনীতিবিদরা। নিশ্চিত সরকারও। সে কারণে লক্ষ্য কমিয়ে ৭ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। সেটাও অর্জিত হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় দেখা দিয়েছে।
এমন পেক্ষাপটে এবার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৭ শতাংশের ঘরে নামিয়ে এনে নতুন বাজেট দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রীর এ ভাবনার সঙ্গে একমত পোষণ করে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন কঠিন সময়। মহামারির এই সময়ে বাজেটের আকার, ঘাটতি বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামানোর প্রয়োজন আমি দেখছি না।
‘কোভিডের মধ্যে চলতি অর্থবছরে চার-সাড়ে চার শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও যথেষ্ট। আগামী অর্থবছরে ৫ শতাংশ হলেও ভালো।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন যে করেই হোক, যেখান থেকেই হোক, যত টাকাই লাগুক, টিকা এনে সারা দেশের মানুষকে দিতে হবে; মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে। একই সঙ্গে যারা করোনার আঘাতে চাকরি হারিয়েছে, তাদের চাকরি বা কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। যাদের আয় কমে গেছে, তাদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে সংসার চালানোর সুযোগ করে দিতে হবে।
‘অর্থাৎ অসহায় মানুষের যার যেমন সহায়তা দরকার, সেটা করতে হবে। নতুন বাজেটে সরকার এমনটাই করবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।’
আগামী অর্থবছরের বাজেটটি অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের তৃতীয় বাজেট এবং আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের ত্রয়োদশ বাজেট।
চলতি অর্থবছরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার বাজেট ঘোষণা হয়েছিল গত বছরের ১১ জুন। এরপর মাত্র ৯ দিনের বাজেট আলোচনা ছিল, যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সংক্ষিপ্ততম অধিবেশন।
২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম বাজেটের সময় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় মুস্তফা কামাল সংসদে ভালোভাবে বাজেট পেশ করতে পারেননি। তার পক্ষে বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিতীয়বার ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেট উপস্থাপনের সময় দেশে পুরোদমে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। তৃতীয়বার, অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরেও করোনার প্রকোপ সামনে রেখেই বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী
মহামারির বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমেই মূলত দেশের মানুষের ‘জীবন ও জীবিকার’ জন্য অর্থ ব্যয় করবেন অর্থমন্ত্রী। এর বাইরে বিভিন্ন খাতে নানা ধরনের প্রণোদনা দিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার চেষ্টা করবেন।
আর সে কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ অনেক বাড়ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নতুন বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে সব মিলিয়ে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দের প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী। এই বরাদ্দ বিদায়ী অর্থবছরে বাজেটের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি।
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ আছে ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা।
বয়স্ক, বিধবাসহ বর্তমানে আট ধরনের ভাতা আছে, যা সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এর বাইরে মহিলা ও শিশু, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ অনেক মন্ত্রণালয়ের আলাদা সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি চালু রয়েছে।
এখন ৮৮ লাখ দরিদ্র লোক বয়স্ক, বিধবাসহ বিভিন্ন ধরনের ভাতা পাচ্ছেন। মোবাইলের মাধ্যমে সরকার এখন সুবিধাভোগীদের কাছে সরাসরি টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বিদায়ী অর্থবছরে বাজেটের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি রাখা হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
নতুন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দ নিয়ে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে একটি বিশেষ সভা হয়। ওই সভায় আরও ১৫০ উপজেলার সব বয়স্ক এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নারীকে ভাতার আওতাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য অতিরিক্ত তিন হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি নির্মাণেও বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে। বর্তমানে সারা দেশে এক লাখ ৮৬ হাজার ৪০৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়ে থাকেন।
বিদায়ী বাজেটে ১১২টি উপজেলার সব বয়স্ক এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে ভাতার আওতাভুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। বর্তমানে সারা দেশে ৪৯ লাখ বয়স্ক নাগরিককে মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা দেয় সরকার। নতুন করে ১৫০ উপজেলায় সব বয়স্ককে ভাতার আওতাভুক্ত করা হলে ভাতাভোগীর সংখ্যা আরও আট লাখ বাড়তে পারে।
একইভাবে সোয়া পাঁচ লাখ বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারী নতুন করে ভাতার আওতাভুক্ত হবেন। বর্তমানে সারা দেশে ২০ লাখ ৫০ হাজার নারীকে ৫০০ টাকা করে ভাতা দেয় সরকার।
সামাজিক নিরাপত্তার ১২৩টি কর্মসূচি রয়েছে। ৩০ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
নতুন বাজেটে হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মানোন্নয়নে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হবে। বর্তমানে ৮৬ হাজার জনকে এ ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে এ ভাতা দেওয়া হবে ৯৫ হাজার জনকে।
সড়ক ও নৌপরিবহন শ্রমিকরাও পাবেন নগদ টাকা
নতুনভাবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আসছেন সড়ক ও নৌপরিবহন শ্রমিকরা। করোনার কারণে গণপরিবহন ও নৌপরিবহন বন্ধ ছিল বেশ কিছুদিন। সামনেও বন্ধ রাখা লাগতে পারে। ফলে এসব যানবাহনে কর্মরত ড্রাইভার, হেলপার ও সুপারভাইজারদের আয়ের পথ বন্ধ ছিল বা ভবিষ্যতেও বন্ধ থাকতে পারে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে (দুই সিটে একজন) চালানোর কারণে পরিবহন মালিকদের আয়ও কমে গেছে। এতে ড্রাইভার, হেলপার ও সুপারভাইজারদের টাকাও (মজুরি-বেতন) কমিয়ে দিয়েছে মালিকরা।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সড়ক ও নৌ খাতের পরিবহন শ্রমিকদের নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব শ্রমিককে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের নগদ টাকা দেবে সরকার।
রাজধানীসহ দেশের যেসব স্থানে লকডাউনের কারণে শপিং মল-দোকানপাট বন্ধ ছিল। সেসব বিপণিবিতানের কর্মচারীদেরও নতুন বাজেটে নগদ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হবে। এ জন্য নতুন বাজেটে একটি বরাদ্দ রাখা হবে।
এ ছাড়া দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা, সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরকালীন পেনশনও দেওয়া হবে এই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায়।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. শামসুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, “মহামারির কঠিন সময় বিবেচনায় নিয়েই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বলয় বাড়াতে হবে। যারা সত্যিই সত্যিই কষ্টে আছে…তাদের সবাইকে সহায়তা দেবে সরকার। সে কারণেই আমরা বলছি, এবারের বাজেট হবে ‘জীবন ও জীবিকার’ বাজেট।”