আসন্ন বাজেটে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে বরাদ্দ দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারি ফোরাম।
শিক্ষক-কর্মচারীদের এ সংগঠন সংবাদ সম্মেলনে অতিদ্রুত স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ারও দাবি জানায়।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরামের মহাসচিব আব্দুল খালেক। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরামের সভাপতি মো. সাইদুল হাসান সেলিম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমান সরকার এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জীবন মানোন্নয়নে যথাযথ নজর দেয়নি।
‘এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারিদের এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা দেয়া হয়। যা বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে খুবই বেমানান ও লজ্জাজনক। অথচ দেশের ৯৭ শতাংশ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার গুরুদায়িত্ব পালন করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকদের জন্য নেই স্বীকৃত একটি শিক্ষা আইন। ফলে একশ্রেণির কর্মকর্তা বঞ্চনা ও বৈষম্য সৃষ্টির অভিপ্রায়েই যেন জারি করেন যত পরিপত্র, নীতিমালা ও প্রজ্ঞাপন।
সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরামের সভাপতি মো. সাইদুল হাসান সেলিম অতিদ্রুত স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘এখন সব কিছুই খোলা, শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া। তাই আমরা অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে আমরা প্রতিবন্ধী জাতিতে পরিনত হবো। আমাদের কোনো উন্নয়নই তখন কাজে আসবে না। তাই এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’