ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে কে না চায়। এ কাজে অনেকে প্রচুর সময় ব্যয় করে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ ত্বকের জন্য দরকার নেই খুব বেশি কিছু করার। দিনের শুরুতে অল্প কিছু নিয়ম মেনে চললেই ত্বকের সজীবতা ধরে রাখা যাবে।
দিনটা শুরু করতে হবে লেবুপানি দিয়ে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর পুরো রস দিতে হবে। পান করতে হবে খালি পেটে।
মনে রাখতে হবে, লেবুপানিতে বাড়তি চিনি অথবা বিটলবণ যোগ করা যাবে না। তবে এক চামচ মধু নিতে পারেন।
লেবুর রসে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আর ভিটামিন ‘সি’ থাকে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে। খালি পেটে লেবুর পানি যাদের পেটে অ্যাসিডিটি সৃষ্টি করে, তারা এটা এড়িয়ে যেতে পারেন।
এরপর চলতে পারে হালকা ব্যায়াম। পার্কে বা রাস্তায় সেকেন্ডে দুই কদম গতিতে হাঁটুন কমপক্ষে ১৫ মিনিট। ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে পারেন।
হাঁটা শেষে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন কিছুক্ষণ। ব্যায়ামের কারণে শরীর ঘামবে এবং এর সঙ্গে ক্ষতিকর পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। ফলে শরীর থাকবে সুস্থ, মন হবে চাঙা। ক্ষতিকর পদার্থ বেরিয়ে যাওয়ার কারণে আপনার ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও বাড়বে।
ব্যায়াম সেরে বাসায় ফিরেই মুখটা ধুয়ে ফেলুন। গোসল করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। তাতে শরীরে লেপ্টে থাকা ঘাম ও তেল পরিষ্কার হয়ে যাবে। সঙ্গে ত্বকের মরা কোষগুলোও উঠে যাবে।
মুখে ফেস সিরাম অথবা হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে সারা দিন সতেজ লাগবে। তবে ময়েশ্চারাইজার হতে হবে ত্বক উপযোগী।
আপনার ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজারটি উপযুক্ত সেটা জানা খুব জরুরি। যাদের ত্বক সংবেদনশীল তারা সঠিক ময়েশ্চারাইজারটি ব্যবহার না করলে নানা সমস্যায় ভুগতে পারেন।
হয়তো ভাবছেন, কীভাবে জানবেন ত্বকের জন্য উপযুক্ত ময়েশ্চারাইজার কোনটি? খুব সহজ।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পরে ত্বকে টান না ধরলে এবং ত্বক তেলতেলে না লাগলে বুঝতে হবে ময়েশ্চারাইজার ঠিক আছে।
বাজারে কিছু ময়েশ্চারাইজার আছে যেগুলোতে এসপিএফ থাকে। সেটা ব্যবহার করলে আপনি রোদ থেকেও সুরক্ষা পাবেন।
এবার দৃষ্টি দেয়া যাক খাবারের দিকে। ত্বকের সুস্থতা ও ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে চাইলে খাবারে শাকসবজি ও ফল রাখতেই হবে।
সকালের নাশতায় সামান্য সবজি রাখতে পারেন। সবজি দিয়ে খেতে পারেন রুটি। এরপর একটা আপেল বা আম চলতে পারে।
ফলটা জুস করেও খেতে পারেন। তবে পুরোটা খাওয়াই ভালো। কারণ, তাতে শরীরে আঁশ যাবে; পেট থাকবে ভালো। এ ছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।