বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্থায়ী রঙিন চুলের যত্ন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:০৯

কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা দরকার যেমন: চুল রিবন্ডিং, স্ট্রেইটেনিং, পার্মিং, কালার বা অন্য কোনো কেমিক্যাল থাকা অবস্থায় বা চুলে মেহেদী থেকে থাকলে কখনও ফ্যাশন কালার করা যায় না।  

চুলে স্থায়ী রং সাধারণত করা হয় সাদা চুল ঢাকতে। একটা সময়ে প্রাকৃতিক হেয়ার কালারিংয়ের বেশি রেওয়াজ ছিল। সেসবের আবেদন ও ব্যবহার না কমলেও পার্মানেন্ট কেমিক্যাল হেয়ার কালারিং এখন বেশি জনপ্রিয়।

পার্মানেন্ট কালার আবার তিনটি ধাপে এগিয়েছে।

সেমি পার্মানেন্ট কালার: এ ধাপে কালার সাধারণত ছয় থেকে আট বার শ্যাম্পু করার পর চলে যায়।

লঙ্গার-লাস্টিং সেমি-পার্মানেন্ট কালার: এই কালার ১২ থেকে ২০ বার শ্যাম্পু করার পর চলে যায়। তবে এটি সেমি-পার্মানেন্টের তুলনায় আরও ভালোভাবে চুলের কর্টেক্সে ঢুকে যায়। ফলে এটি সেমি-পার্মানেন্টের তুলনায় বেশি দিন টিকে থাকে।  

পার্মানেন্ট হেয়ার কালারিং: সাদা চুল ঢাকার জন্য হাই-লাইট, সেমি পার্মানেন্ট অথবা লঙ্গার-লাস্টিং হেয়ার কালার না নিয়ে পার্মানেন্ট কালার করাই যুক্তিযুক্ত।  

কেননা পার্মানেন্ট হেয়ার কালার ৩০ মিনিটের মধ্যে খুব কার্যকরভাবে চুলের কর্টেক্সে ঢুকে যায়, ডেভেলপারের অক্সিজেন কালারকে চুলের কর্টেক্সে স্থায়ীভাবে থাকতে সাহায্য করে।

সাধারণত ছয় সপ্তাহ পরপর নতুন জন্মানো সাদা চুলকে কালার করতে হতে পারে। যদিও এটা প্রত্যেকের চুলের বৃদ্ধির উপর নির্ভর করে।

তবে খেয়াল রাখা দরকার, চুলকে রিটাচ করার সময়ে আগে কালার করা চুলগুলোকে এড়িয়ে যেতে হবে। কেননা এতে করে চুল রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে পড়তে পারে।  

ফ্যাশন কালারও পার্মানেন্ট হেয়ার কালার। তবে কিছু উজ্জ্বল ও ফ্যাশনেবল কালার টোন এখানে দেয়া হয়, যা যে কেউ চাইলে করাতে পারেন।

সাধারণত এই পদ্ধতিতে হাইলাইটের মতো কয়েক গুচ্ছ চুল নিয়ে কালার করা হয়। ফ্যাশন কালারে সাধারণত লাল, নীল, সবুজ, গোলাপী, বেগুনী, হলুদ ও কমলা রং করা হয়ে থাকে।  

ফ্যাশন কালার করার ৪৮ ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন। এ সেবা নেয়ার আগে চুল শ্যাম্পু করে নিতে পারলে ভালো হয়।

কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা দরকার। যেমন: চুল রিবন্ডিং, স্ট্রেইটেনিং, পার্মিং, কালার বা অন্য কোনোভাবে কেমিক্যাল থাকা অবস্থায় বা চুলে মেহেদী থেকে থাকলে কখনও ফ্যাশন কালার করা যায় না।  

প্রয়োজনীয় তথ্য

শ্যাম্পু কেনার সময়ে স্পেশ্যালি কালার ট্রিটেড হেয়ারের জন্য তৈরি করা শ্যাম্পু বেছে নিন।

প্রতি দুই সপ্তাহে অন্তত একবার হেয়ার স্পা বা ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার ট্রিটমেন্ট নেয়ার চেষ্টা করবেন।

এক বার রং করার পর চুলে আবার রং করতে চাইলে প্রথমে রুট টাচআপ করে নিন।

প্রতি ৬-৮ সপ্তাহ পরপর চুলের আগা ছেঁটে নিন।  

উভয়ের ক্ষেত্রে বলতে হয়, পার্লারে গিয়ে সেবা নেয়া সম্ভব না হলে বাসায় অবশ্যই খুব ভালোভাবে চুল কন্ডিশনিং করুন। 

হেয়ার সিরাম বা লিভ-ইন কন্ডিশনারও লাগাতে পারেন।

এ বিভাগের আরো খবর